চট্টগ্রামে এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলে অগ্নিকান্ড, পুড়েছে ১ লাখ টন অপরিশোধিত চিনি

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামে এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলস লিমিটেডে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডেরঘটনা ঘটেছে। এটি কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগরে অবস্থিত।

সোমবার বিকেলে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরফলে পুড়ে গেছে কারখানাটির গুদামে রক্ষিত প্রায় একলাখ টন অপরিশোধিত চিনি। রমজানের পূর্বে এসব অপরিশোধিত চিনি ব্রাজিল থেকে আমদানি করা হয়েছিল।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, বিকেল পৌনে ৪টার দিকে আগুন লাগে কারখানাটিতে। খবর পেয়ে প্রথমে ৩টি ইউনিট অকুস্থলে ছুটে যায়। পরে আগুনের তীব্রতা বাড়ায় পর্যায়ক্রমে ১২টি ইউনিট ছুটে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত হয়।

তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কীভাবে আগুন লেগেছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। প্রাণহানি বা হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

আগুন লাগার অল্প সময়ের মধ্যেই তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। লেলিহান শিখা অনেকদূর থেকে দৃশ্যমান হয়। আগুনের তীব্রতায় আশপাশে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এর কাছাকাছি স্থানে রয়েছে আরও ৫টি গুদাম। ফায়ার সার্ভিসের দমকল ইউনিটগুলো নির্বাপনের পাশাপাশি আশেপাশে সংক্রমণ ঠেকাতে তৎপর হয়। বৈদ্যুতিক ত্রুটিজনিত কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ফায়ার সার্ভিস তাৎক্ষণিকভাবে আগুনের কারণ নিশ্চিত করেনি।

কারখানায় কর্মরত কর্মীরা জানান, গুদামে রাখা ছিল সদ্য ব্রাজিল থেকে আমদানি করা ৭০ হাজার মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনি।

এছাড়া আগে থেকেও সেখানে চিনির স্টোরেজ ছিল। সব মিলিয়ে অন্তত ১ লাখ টন চিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর নিরুপিত হবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

উল্লেখ্য, এস আলম শিল্প গ্রুপের মালিকানাধীন এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিল দেশের অন্যতম বৃহৎ চিনি আমদানিকারক ও পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠান। দেশের বাজারে শীর্ষ কয়েকটি চিনি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি এই প্রতিষ্ঠান।

২০০৪ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। মিলটি ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অপরিশোধিত চিনি আমদানি করে শোধন করে থাকে। এর দৈনিক পরিশোধন ক্ষমতা ৪ হাজার মেট্রিক টন।

এস আলম গ্রুপ ছাড়াও দেশে আরও ৬টি চিনি পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা বিদেশ থেকে ‘র’ সুগার এনে পরিশোধন করে থাকে।

Related posts

Leave a Comment